তিনি একজন বাঁশি বিক্রেতা। পথে হেঁটে হেঁটে অসাধারণ সুর তোলেন নিজের তৈরি বাঁশিতে। হঠাৎ পথ চলতে তার সুর শুনে তাকে ডেকে নিয়ে এক দোকানের সামনে বসলাম। আবদার করলাম তার বাঁশি বাজানো শোনার। তিনিও আবদার রক্ষা করলেন। হাসিমুখেই একে একে শোনালেন বেশ কয়েকটি সুর।
বাংলার পথে-প্রান্তরে ঘুরে বেড়ায় এরকম অনেক প্রতিভাবান মানুষ। নিরবে-নিভৃতে জীবিকার সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী এরকম গুণী শিল্পীর সংখ্যা নেহায়েতই কম নয় আমাদের চারপাশে। তাদের আমি বলি- চারণশিল্পী। এই চারণশিল্পী'দের কথা কেউই ভাবে না এ সমাজে। এমনকি শিল্পী'র স্বীকৃতি কিংবা নূন্যতম সম্মানটুকুও জোটেনা তাদের ভাগ্যে। জীবন সংগ্রামের মাঠ থেকে তারা কখনোই বিজয়ীর বেশে ফিরতে পারে না -এ যেন নিয়তির এক নির্মম পরিহাস!
0 Comments